❤❤সূরা মূলক-এর ফজিলত :
❤হযরত উসমান (রাঃ) যখন কবরের ধার দিয়া
যাইতেন তখন কান্নায় উনার দাড়ি ও বুক ভাসিয়া যাইত। লোকে জিজ্ঞাসা করিত ।আপনি জান্নাত ও জাহান্নামের বর্ণনাও এত বেশী কান্নাকাটি করেন না। এর কারণ কি ?
তিনি বলেন, আমি হুজুর (সাঃ) এর নিকট শুনিয়াছি কবর আখেরাতের প্রথম মন্জিল।
❤যে ব্যক্তি এখানে নাজাত পাইল, তাহার জন্য সমস্ত মন্জিল আছান বা সহজ । আরো শুনিয়াছি কবর হইতে ভয়ংকর দৃশ্য আমি কোথাও দেখি নাই।যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মূলকের আমল করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে।
(তিরমিজি-২৮৯০, মুসতাদরাকে হাকেম)
❤হজরত আবু হুরাইরা রাঃ থেকে বর্ণিতআছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কোরআন শরীফে ৩০ আয়াত বিশিষ্ট একটি সূরা আছে,যার তেলাওয়াতকারীকে ক্ষমা করে না দেয়া পর্যন্ত তার জন্য সুপারিশ করতেই থাকবে। সূরাটি হলো-- তাবারাকাল্লাযী বি ইয়াদিহিল মূলক।
(আবু দাউদ-১৪০২, তিরমিজি-২৮৯১, ইবনে মাজাহ-৩৭৮৬, মুসনাদে আহমদ-২/২৯৯)।
❤অন্য এক হাদিসে, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন," আমার মন চায় প্রত্যেক মুমিনের হৃদয়ে যেনো সূরা মূলক মুখস্ত থাকে। "[বায়হাকীর শুআবুল ইমান-২৫০৭]।
❤আরেকটি এক হাদিসে বর্ণিত আছে,যে এ সূরা তেলাওয়াতকারীর আমলনামায় অন্য সূরার তুলনায় ৭০ টি নেকী বেশি লিখা হবে এবং ৭০টি গোনাহ মুছে ফেলা হবে।
(তিরমিজি-২৮৯২)।
❤আর যে ব্যক্তি নিয়মিত সুরা মূলকের।আমল করবে সে কবরের আজাব থেকে মুক্তি পাবে।
(তিরমিজি-২৮৯০, মুসতাদরাকে হাকেম)।
❤হাদীসে আছে; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোনো রাতে সুরা মূলক না পড়ে ঘুমাতেন না।
(তিরমিজি-২৮৯২, হিসনে হাসিন)।
❤আবদুল্লাহ্ বিন মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন,
“কবরস্থিত ব্যক্তির নিকট পায়ের দিকে দিয়ে ফেরেশতারা শাস্তির জন্য আসতে চাইবে। তখন তার পদদ্বয় বলবে, আমার দিক দিয়ে আসার রাস্তা নেই। কেননা সে সূরা ‘মুলক’ পাঠ করত।
Monday, January 10, 2022
Author: Zunayed Eman
Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.
0 coment rios: