তিন বছর আগে নুরজাহান রোডের দো’ তলা এক বাড়ীর বাতি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। ঘটনাটা গুছিয়ে বলা প্রয়োজন।
কালো করে এক মেয়ে আমার পাশে এসে বসল। বসেই বাতি নিভিয়ে দিল। হকচকিয়ে গেলাম আমি।
''বাতি নেভালে কেন?''
''আমি অসুন্দর। এই জন্য।''
''এটা কেমন কথা!''
''আমি এখন তোমাকে একটা প্যারিসের কবিতা শোনাব। কবিতাটা আগেও শুনিয়েছি। তখন তোমার সামনে একজন কুৎসিত মেয়ে বসেছিল। এখন যেহেতু মেয়েটিকে বোঝা যাচ্ছে না কাজেই সে একজন মায়াবতী। একজন মায়াবতীর সাথে তোমার কেমন সময় কাটে, আমার দেখার খুব ইচ্ছে।''
স্মোকাররা অপ্রস্তুত হওয়া মাত্রই সিগারেটের আশ্রয় নেয়। সিগারেট জ্বলেই আবার নিভে গেল। দেয়ালে হেলান দিয়ে কালো করে মেয়েটি গান গাইছে। পুরনো বর্ষার গান। বর্ষা আমার ভাল লাগে না। আমি ছাতা ধরা মানুষ। অন্ধকার গানে সন্মোহন কিছু একটা ছিল। আমি মুগ্ধ হয়ে গান শুনছি।
আমি মহাপুরুষ না। পরীর মত কাউকে চেয়েছিলাম। অবশ্যই দেখতে ফর্সা হবে। চোখের নিচে মায়া থাকবে। হাসলে খুব সুন্দর লাগবে। না হাসলেও লাগবে।
আচ্ছা কালো রঙের কোন পরীর বর্ণনা কী কোথাও আছে? কেন নেই!
বর্ষা থেমে গেল। বাইরে তাকিয়ে দেখি ঝলমলে রোদ।
‘বধু...
কোন আলো লাগলো চোখে... !’
কী সর্বনাশ! কোন আলোর কথা বলা হচ্ছে! হাত সরিয়ে নিল সে। দুরে গিয়ে ভাবলেশহীন হয়ে বসে আছে।
''বাতি জ্বালাও।''
''না''
''কেন?''
''আমি অসুন্দর। এই জন্য।''
''এ কেমন কথা!''
''রূপবতীর রূপ অন্ধকারে দেখা যায় না। অন্ধকারে সবই এক। পার্থক্য শুধু আলোতে।''
- Zunayed Evan vai🖤
0 coment rios: