Monday, January 10, 2022

দু আ কবুলের গল্প

দু'আ কবুলের গল্প♥ আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ উপহার এবং একটি দোয়া কবুলের গল্প। দোয়া জীবন পরিবর্তন করতে পারে। বিশেষ করে বোনেরা বিয়ের আগে কেমন জীবনসঙ্গী চান সেটা সবার আগে আল্লাহকে বলুন। খুব বাজে একটা দাম্পত্য সম্পর্কের (মা-বাবার) পরিবার থেকে বিলং করি আমি। ছোট থেকে খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা আছে পরিবার নিয়ে। বিয়ে জিনিসটা খুব অসহ্য লাগতো একসময়। দ্বীনের বুঝ পাওয়ার পর ডিসিশন নেই বিয়ে করব। বেশ কিছু বায়ো ডাটা পাই। তার মধ্যে একজনের সাথে কথা বেশ অনেকটুকু আগায়। খুব ভয় করছিলো। তার আখলাক ভাল, দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে পড়েন। সব দিক থেকেই ভাল। আমার নিজের সম্পর্কে বিশেষ কিছু ব্যক্ত করে বলার মতো তেমন কিছু নেই। প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে দিন যেতো। যদি কষ্ট পাই? বিয়ের পরের স্মৃতিচারণ যদি তিক্ত হয়! আল্লাহর কাছে খুব দোয়া করেছি, খুব কান্না করেছি। মাসের পর মাস রাত জেগে তাহাজ্জুদ পড়েছি। শত-শত বার ইস্তেগফার করেছি। রোজা রেখেছি। অনেক ঝড়-ঝাপটা মাড়িয়ে অবশেষে অর্ধ বছর লম্বা সময় অপেক্ষা করে সপ্তাহের পবিত্র দিনে জুমা’র পরে আমাদের বিয়ে হয়। এর পরের জীবনটা আমার অবর্ণনীয়। আল্লাহ আমাকে এমন নিয়ামত দিয়েছেন যে সত্যি বলতে মাঝে মাঝে মনে হয় আমি এতটাও উপযুক্ত নই এসবের। আল্লাহ আমাকে এমন একজন জীবন সঙ্গী দিয়েছেন যার তুলনা আমি কোথাও খুঁজে পাই না। চক্ষুশীতলকারী অন্তর শীতলকারী একজন। আমার প্রতিটি কাজ মুগ্ধ হয়ে এপ্রিশিয়েট করেন। রান্নাটা খারাপ হলেও পেটপুরে খেয়েদেয়ে ওঠে যান। অফিস থেকে ফিরে সুন্দর সুন্দর নাম ধরে ডাক দেন। মাঝে মাঝে কবিতা শুনান। মন খারাপ হলে গল্প শোনান। দিনের কিছু সময় এটা ওটা বলে খুব হাসান। মাঝে মাঝে বলি, "আমি কি একটু রেগেও থাকতে পারবো না?" - নাহ, বউরা রাগ করলে বাসায় ভালো লাগে নাকি! এই ভালবাসা গুলো কি হারামে ডুবন্ত গার্লফ্রেন্ড বয়ফ্রেন্ডরা অনুভব করতে পারবে? আলহামদুলিল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ। আমি দুনিয়াতে এক টুকরো জান্নাত হিসেবে আমার সংসারটাকে পেয়েছি। প্রত্যেক দিন মনে হয় যে, আমি নতুন করে তার প্রেমে পড়ি। সত্যি বলতে আমি দুনিয়াতে টাকা পয়সা নাম ডাক কিছু চাই না। শুধু চাই যখন মৃত্যু আসবে এই মানুষটার দিকে তাকিয়ে থেকে কালেমা পড়ে যাতে আমি দুনিয়া থেকে বিদায় নিতে পারি। [এমন নয় যে আমাদের ঝগড়া হয় না কিংবা কোনো কষ্ট নেই জীবনে। আমি শুধু ভালোটুকু বেঁছে নিয়েছি জীবনে ভাল থাকার জন্য] - নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বোন

শেয়ার করুন

Author:

Etiam at libero iaculis, mollis justo non, blandit augue. Vestibulum sit amet sodales est, a lacinia ex. Suspendisse vel enim sagittis, volutpat sem eget, condimentum sem.

0 coment rios: