Tuesday, April 5, 2022

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

 আচ্ছা... মনোবিজ্ঞানের সাহায্য নিয়ে মানুষ চেনার কোন উপায় কী আছে ? 


সিগারেটখোর এক টান দিয়ে ধোঁয়া অর্ধেক গলায় রেখেই বলে দিতে পারবে,এটি ড্যাম সিগারেট ছিল। তারা'খোর আকাশের দিকে তাকিয়েই বলে দিতে পারবে,এই তারাটি কয়েকশো বছর পর মারা যাবে।


দীর্ঘদিন তামাক খেলে সিগারেট চেনা যায়।আকাশের দিকে তাকালে নক্ষত্র চেনা যায়;ত্রিশ বছর মার্বেল আকৃতির দুটি চোখের দিকে তাকাবার পরও মানুষটাকে চেনা যায় না।


-জুনায়েদ ইভান ভাই


❤️

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

 কাউকে ভালবাসার কথা জানালে প্রাপকের কাছে দুটি জবাব

থাকে।

হ্যাঁ

না

এর বাইরে তৃতীয় কোন উত্তর নেই।

 তৃতীয় কোন

চিন্তা নেই।

আমি তাকে মনের কথা জানানোর পর সে কিছুক্ষণ

ভেবে ' না ' সূচক জবাব দিল।

কী আশ্চর্য ! পৃথিবীতে এত এত মানুষ আছে, এদের

কজনকে নিয়ে সে আলাদা করে ভেবেছে ? আমাকে

নিয়ে সে আলাদা করে ভেবেছে। আলাদা করে সময়

বের করে চিন্তা করেছে।

তার হাতে মাত্র দুটি জবাব ছিল সেখান থেকে একটি দিয়ে দিল

আমাকে।

পৃথিবীর সাতশো কোটি মানুষ তার কোন একটি অন্তরও পায়

নি। আমাকে সে পরম আদরে রেখেছে অন্তরের ' না

' বোধক হৃদয়ে !!

আচ্ছা হ্যাঁ এবং না এর বাইরে তৃতীয় কোন জবাব কি থাকতে

পারে না ??

তৃতীয় জবাব হল আমি তোমাকে ভালবাসি এবং ভালবাসি না এর

মাঝা মাঝি একটা জায়গা।

আমি তোমার সাথে সারাজীবন এক ছাদের নিচে কাটাব না...

তবু কখনো মনে হবে , ইসসস !তুমি থাকলে হয়ত জীবনটা

অন্যরকম হত !

...এই ধরো ..

জুনের রাতে কান্না এলে তুমি যাকে ফোন করে কাঁদবে

, আমি একদিন সেই ফোন রিসিভ করা ব্যক্তিটি হব !

হুড লাগিয়ে যে মানুষটিকে নিয়ে রিকশায় ঘুরছো আমি সেই

মানুষটি না হই তবু ক্ষনে ক্ষনে কিছু গ্যাস বেলুন দেখে

মনে পড়বে আমার কথা।

রোজ না...

কোন কোন দিন তুমি মহিনের গান শুনে তোলপাড় হবে।

ভোরের দিকে খিদে পেটে বারান্দায় দাড়াবে। ফোন

করে জিজ্ঞাসা করবে ' কেমন আছো ?'

কেমন আছো' বাক্যটি খোলাসা করলে দাড়ায় - কে?

মন ? আছো ?

কী সাংঘাতিক কথা!

কে? মন? কে খোলাসা করলে দাড়ায় ' কে? আমি? ;

অর্থাৎ আমি কে ??

প্রচণ্ড নির্দয় মানুষটি কোন একদিন বারান্দায় দাড়িয়ে জিজ্ঞাসা

করছে - আমি কে ?

কি জবাব দিব আমি ? তৃতীয় কোন জবাব কী আছে ?

- Zunayed evan ভাই 🖤

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

 তিন বছর আগে নুরজাহান রোডের দো’ তলা এক বাড়ীর বাতি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। ঘটনাটা গুছিয়ে বলা প্রয়োজন।

কালো করে এক মেয়ে আমার পাশে এসে বসল। বসেই বাতি নিভিয়ে দিল। হকচকিয়ে গেলাম আমি।

''বাতি নেভালে কেন?''

''আমি অসুন্দর। এই জন্য।''

''এটা কেমন কথা!''

''আমি এখন তোমাকে একটা প্যারিসের কবিতা শোনাব। কবিতাটা আগেও শুনিয়েছি। তখন তোমার সামনে একজন কুৎসিত মেয়ে বসেছিল। এখন যেহেতু মেয়েটিকে বোঝা যাচ্ছে না কাজেই সে একজন মায়াবতী। একজন মায়াবতীর সাথে তোমার কেমন সময় কাটে, আমার দেখার খুব ইচ্ছে।''

স্মোকাররা অপ্রস্তুত হওয়া মাত্রই সিগারেটের আশ্রয় নেয়। সিগারেট জ্বলেই আবার নিভে গেল। দেয়ালে হেলান দিয়ে কালো করে মেয়েটি গান গাইছে। পুরনো বর্ষার গান। বর্ষা আমার ভাল লাগে না। আমি ছাতা ধরা মানুষ। অন্ধকার গানে সন্মোহন কিছু একটা ছিল। আমি মুগ্ধ হয়ে গান শুনছি।

আমি মহাপুরুষ না। পরীর মত কাউকে চেয়েছিলাম। অবশ্যই দেখতে ফর্সা হবে। চোখের নিচে মায়া থাকবে। হাসলে খুব সুন্দর লাগবে। না হাসলেও লাগবে।

আচ্ছা কালো রঙের কোন পরীর বর্ণনা কী কোথাও আছে? কেন নেই!

বর্ষা থেমে গেল। বাইরে তাকিয়ে দেখি ঝলমলে রোদ।

‘বধু...

কোন আলো লাগলো চোখে... !’

কী সর্বনাশ! কোন আলোর কথা বলা হচ্ছে! হাত সরিয়ে নিল সে। দুরে গিয়ে ভাবলেশহীন হয়ে বসে আছে।

''বাতি জ্বালাও।''

''না''

''কেন?''

''আমি অসুন্দর। এই জন্য।''

''এ কেমন কথা!''

''রূপবতীর রূপ অন্ধকারে দেখা যায় না। অন্ধকারে সবই এক। পার্থক্য শুধু আলোতে।''

- Zunayed Evan vai🖤

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

 কাউকে ভালবাসার কথা জানালে প্রাপকের কাছে দুটি জবাব

থাকে।

হ্যাঁ

না

এর বাইরে তৃতীয় কোন উত্তর নেই।

 তৃতীয় কোন

চিন্তা নেই।

আমি তাকে মনের কথা জানানোর পর সে কিছুক্ষণ

ভেবে ' না ' সূচক জবাব দিল।

কী আশ্চর্য ! পৃথিবীতে এত এত মানুষ আছে, এদের

কজনকে নিয়ে সে আলাদা করে ভেবেছে ? আমাকে

নিয়ে সে আলাদা করে ভেবেছে। আলাদা করে সময়

বের করে চিন্তা করেছে।

তার হাতে মাত্র দুটি জবাব ছিল সেখান থেকে একটি দিয়ে দিল

আমাকে।

পৃথিবীর সাতশো কোটি মানুষ তার কোন একটি অন্তরও পায়

নি। আমাকে সে পরম আদরে রেখেছে অন্তরের ' না

' বোধক হৃদয়ে !!

আচ্ছা হ্যাঁ এবং না এর বাইরে তৃতীয় কোন জবাব কি থাকতে

পারে না ??

তৃতীয় জবাব হল আমি তোমাকে ভালবাসি এবং ভালবাসি না এর

মাঝা মাঝি একটা জায়গা।

আমি তোমার সাথে সারাজীবন এক ছাদের নিচে কাটাব না...

তবু কখনো মনে হবে , ইসসস !তুমি থাকলে হয়ত জীবনটা

অন্যরকম হত !

...এই ধরো ..

জুনের রাতে কান্না এলে তুমি যাকে ফোন করে কাঁদবে

, আমি একদিন সেই ফোন রিসিভ করা ব্যক্তিটি হব !

হুড লাগিয়ে যে মানুষটিকে নিয়ে রিকশায় ঘুরছো আমি সেই

মানুষটি না হই তবু ক্ষনে ক্ষনে কিছু গ্যাস বেলুন দেখে

মনে পড়বে আমার কথা।

রোজ না...

কোন কোন দিন তুমি মহিনের গান শুনে তোলপাড় হবে।

ভোরের দিকে খিদে পেটে বারান্দায় দাড়াবে। ফোন

করে জিজ্ঞাসা করবে ' কেমন আছো ?'

কেমন আছো' বাক্যটি খোলাসা করলে দাড়ায় - কে?

মন ? আছো ?

কী সাংঘাতিক কথা!

কে? মন? কে খোলাসা করলে দাড়ায় ' কে? আমি? ;

অর্থাৎ আমি কে ??

প্রচণ্ড নির্দয় মানুষটি কোন একদিন বারান্দায় দাড়িয়ে জিজ্ঞাসা

করছে - আমি কে ?

কি জবাব দিব আমি ? তৃতী


য় কোন জবাব কী আছে ?

- Zunayed evan ভাই 🖤

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

 তিন বছর আগে নুরজাহান রোডের দো’ তলা এক বাড়ীর বাতি হঠাৎ করে বন্ধ হয়ে গেল। ঘটনাটা গুছিয়ে বলা প্রয়োজন।

কালো করে এক মেয়ে আমার পাশে এসে বসল। বসেই বাতি নিভিয়ে দিল। হকচকিয়ে গেলাম আমি।

''বাতি নেভালে কেন?''

''আমি অসুন্দর। এই জন্য।''

''এটা কেমন কথা!''

''আমি এখন তোমাকে একটা প্যারিসের কবিতা শোনাব। কবিতাটা আগেও শুনিয়েছি। তখন তোমার সামনে একজন কুৎসিত মেয়ে বসেছিল। এখন যেহেতু মেয়েটিকে বোঝা যাচ্ছে না কাজেই সে একজন মায়াবতী। একজন মায়াবতীর সাথে তোমার কেমন সময় কাটে, আমার দেখার খুব ইচ্ছে।''

স্মোকাররা অপ্রস্তুত হওয়া মাত্রই সিগারেটের আশ্রয় নেয়। সিগারেট জ্বলেই আবার নিভে গেল। দেয়ালে হেলান দিয়ে কালো করে মেয়েটি গান গাইছে। পুরনো বর্ষার গান। বর্ষা আমার ভাল লাগে না। আমি ছাতা ধরা মানুষ। অন্ধকার গানে সন্মোহন কিছু একটা ছিল। আমি মুগ্ধ হয়ে গান শুনছি।

আমি মহাপুরুষ না। পরীর মত কাউকে চেয়েছিলাম। অবশ্যই দেখতে ফর্সা হবে। চোখের নিচে মায়া থাকবে। হাসলে খুব সুন্দর লাগবে। না হাসলেও লাগবে।

আচ্ছা কালো রঙের কোন পরীর বর্ণনা কী কোথাও আছে? কেন নেই!

বর্ষা থেমে গেল। বাইরে তাকিয়ে দেখি ঝলমলে রোদ।

‘বধু...

কোন আলো লাগলো চোখে... !’

কী সর্বনাশ! কোন আলোর কথা বলা হচ্ছে! হাত সরিয়ে নিল সে। দুরে গিয়ে ভাবলেশহীন হয়ে বসে আছে।

''বাতি জ্বালাও।''

''না''

''কেন?''

''আমি অসুন্দর। এই জন্য।''

''এ কেমন কথা!''

''রূপবতীর রূপ অন্ধকারে দেখা যায় না। অন্ধকারে সবই এক। পার্থক্য শুধু আলোতে।''

- Zu


nayed Evan Bhai🖤😊

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

জুনায়েদ ইভানের বিখ্যাত উক্তি

 এমন একটা সময় আসে যখন তোমার চারপাশ খুব পাথর হয়ে যাবে চেনা মুখ অচেনা হয়ে যাবে সারাজীবন পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া মানুষ গুলো তোমাকে পাশ কাটিয়ে চলবে,, ,!!আর কিছু মানুষ খুব দুঃখ প্রকাশ করবে আর তুমি বুক উচিয়ে দীর্ঘ নিঃশাস ফেলবে তখন তোমার মেরুদণ্ড শীতল হয়ে যাবে!! এটাই স্বাভাবিক বিপদের সময় কাছের মানুষেরা এমন দূরে চলে যাবে দুরবীণ দিয়ে ও দেখতে পাবে না!! সব কিছু মেনে নাও একটি কোরআনের আয়াত ভেবে যা তোমার প্রভু বলেছেন নিঃশ্চয় কষ্টের পরে স্বতি আছে!!



Zunayed Evan

Zunayed Evan

 সিঙ্গেল লাইফের মানুষ গুলো আসলে সিঙ্গেল থাকে না। তাদের সাথে সব সময় কেউ একজন থাকে। খুব সুন্দর কোন দৃশ্য দেখার পর তারা ভাবে; যেদিন মানুষটার সাথে পরিচয় হবে সেদিন তাকেও নিয়ে আসবে একদিন।

আকাশে কোন বিমান উড়ে গেলে তার কথা মনে পড়ে। জয় গোসাম্বির কবিতা পড়ার সময় তাকে চোখের সামনে দেখা যায়। এক এক লাইনে তাকে এক এক জামায় দেখা যায়।
চেহারার একটা অবয়ব... ভ্রু কুঁচকে ফেলার অবয়ব... সে কেমন থেমে থেমে কথা বলে... হাত নাড়িয়ে হাঁটে !
আচ্ছা কাল্পনিক ভালবাসা বলে কী কিছু আছে ? সম্পর্কে যারা জড়ায় তারা নাহয় একজন কাউকে নিজের মত করে পায়...
যারা জড়ায় না... তাদের কী আসলেই কেউ থাকে না?
মনোবিজ্ঞানের ভাষায় একে বলা হয় "ইরোটোমেনিয়া"
কারো সাথে সম্পর্ক নেই...সপ্তাহে দু দিন দেখা করার ব্যাপার নেই... কোনদিন কাউকে ফোন করে বলা হয় না স্বপ্ন ভাঙ্গার কোন গল্প...
তবু কেন মধ্যরাতে কলকাতার অঞ্জন এসে চোখ ভিজিয়ে দেয় ? ট্রেনের জানালায় হেডফোন লাগালে আপনার ভেতরে এরকম আলোড়ন সৃষ্টি হয় কেন ?
কেউ আপনার সাথে নেই তবু খুব সুন্দর কোন মুভি দেখার পর আপনার গা ছমছম করে উঠে... মনে হয় নীরা নামের কবিতা গুলো সুনীল আপনার জন্য লিখেছে...
একদম আপনার জন্য...
কেউ আপনার সাথে নেই শুধু সমুদ্রের ছাতার নিচে কফি খেলে আপনার ভেতরে তোলপাড় হয়... এমন কেন হয় !!
সিঙ্গেল লাইফের মানুষ গুলো আসলে সিঙ্গেল থাকে না। এরা থাকে ডিমেন্সিয়া প্রিকক্স নামে এক কাল্পনিক জগতে। কখনো দেখা হয় নি ; তবু দেখা হয়েছে লক্ষ লক্ষ রাতে।
মাঝে মাঝে একটা মানুষকে নিয়ে আপনি ভাবেন। এই পৃথিবীটা খুব নিষ্ঠুর মনে হলে মানুষটার সাথে কথা বলেন। কি কথা হয় মানুষটা জানে না। কথা গুলোও জানে না মানুষটা কে !
......হেরে গিয়ে ফ্লোরে চিত হয়ে ফুরিয়ে যাবার সময় এই মানুষটার কথা ভেবেই আবার ঘুরে দাড়াতে হয়। একদম এক রুমের জরাজীর্ণ মেসের লাইফটাকে গোছাতে হয় এই মানুষটাকে ভেবে।
কী নাম তার ? এই শহরে থাকে ? বড় গাড়ি ঢুকে না এরকম কোন গলিতে থাকে ? কোথাও না কোথাও তো ঠিকই আছে...
সে দেখতে কেমন ? শ্যামলা ? একটু বোকা নাকি ?
জুনায়েদ ইভান

জুনায়েদ ইভান

 'অ্যাশেজ' বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের সবচেয়ে প্রিয়'র তালিকায় রয়েছে। 


একটা সময় ছিল যখন এল আর বি, আর্ক, নগরবাউল, মাইলস, প্রমিথিউস, দলছুট, সোলস, ওয়ারফেজ, আর্টসেল, শিরোনামহীন, চিরকুট, নেমেসিস, অর্থহীনসহ অন্যান্য ব্যান্ডদলগুলোর মিউজিকে ডুবে থাকতাম। মূলত এল আর বি ব্যতীত অন্যকোনো ব্যান্ডের গান আমাকে তেমনভাবে আকর্ষিত করতে পারেনি। অ্যাশেজ এর সাথে পরিচিত হয়েছি একদম শেষে। প্রথমে খুব একটা মনযোগ দেইনি। 


অ্যাশেজের গানে সুরের মূর্ছনা নেই, কবিতার ধারা নেই, 

তাল নেই, অন্তরার সাজ নেই, মেলোডি নেই। 


অ্যাশেজ একটি ভিন্ন ধারার মিউজিক ব্যান্ড। শুধুমাত্র গানকে ফোকাস করলে আপনি অ্যাশেজকে পুরোপুরি অনুভব করতে পারবেন না। 

অ্যাশেজকে গ্রহণ নিতে হবে সামগ্রিকভাবে। 

প্রায় প্রতিদিনই আমি জুনায়েদ ইভানের গান শুনি। ড্রাইভ করার সময় কখনও বা মর্নিং ওয়াকে।  

ইউটিউবে কনসার্টগুলো আপলোড হবার পরপরই আমার সার্চবারের প্রথম সারির ভিডিওতে সেটা ভেসে আসে।


গানের প্রতিটি শব্দের মাঝে কি যেন এক মায়া লুকিয়ে আছে। আছে ভালোবাসা, মুগ্ধতা, জীবনকে রোমাঞ্চিত করার এক অনন্য প্রেরণা। 

দুই লাইনে একটা বিষাদের গল্পকে তুলে ধরা হয়। 

ফিরে আসার উৎসাহ যোগায়। 

নিঃস্ব মনে খোরাক জন্মে। হতাশাগ্রস্ত হৃদয়কে বিপ্লবী করে তোলে! 

তাইতো দেশজুড়ে লাখো কোটি তরুণের মনে যায়গা করে নিয়েছে অ্যাশেজ। 


প্রিয় 'জুনায়েদ ইভান' এর জন্য মন থেকে দোয়া করি। 

সঙ্গীত শুধুমাত্র বিনোদনের ক্ষেত্র নয়, এর অপর নাম ভালোবাসা। অসহায়দের জন্য মানবিক সাহায্যের কাজ করা যায়, মানুষকে ভালোবাসা যায়, ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়া যায়, সেটা তিনি প্রমাণ করেছেন...


Zunayed Evan  ♥️


জুনায়েদ ইভান

জুনায়েদ ইভান


শেষ  Shesh - জুনায়েদ ইভান


এই গল্পে কেউ আক্ষেপ খুঁজে পায় হুইল চেয়ারে বসে দেখা নিঃসঙ্গ নক্ষত্রে। কেউ টরোর শিং সাথে নিয়ে বাঁচতে চায়, কারণ পিছনে তাকানো যাবে না। পেছনে এক পাল ষাঁড়। কেউ জীবন ছেড়ে পালিয়ে যায় পুরানো রেকে প্রতাশিত কাগজের ভিড়ে; সম্বোধন ছাড়া লেখা রুদ্রের শেষ চিঠিতে। কেউ অতীত জলাঞ্জলি দেয় বূষ্টির ফোঁটায়, প্লাস্টিকের বালতিতে। গুনতে ভুল করলে আবার শুরু করা যায়, কিন্তু যায় কি ?

হয়তো যায়, হয়তো যায় না। এই যাওয়া না যাওয়ার এক বিষন্ন মিশ্রণের নামই হলো "শেষ"। 


পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ


১১২ পৃষ্ঠার বই অথচ ভাবের গভীরতা অসীম। প্রতিটা লাইন পড়ার সময় ভাবতে হয়েছে প্রচুর। একেকটা লাইনের ভিতরে হাজারটা আক্ষেপ, স্মৃতি আর রহস্য লুকায়িত। আর বইয়ের শেষটার জন্যই হয়তো "শেষ" নামটার বিকল্প নেই। বইটি পড়ে শেষ হয়ে যাবার পরে, চিঠি গুলো পড়তে না পারার আক্ষেপ পাঠকের রয়েই যাবে। পুরো বইজুড়েই ছিলো ঘোর, দীর্ঘশ্বাস, বেদনা এবং শেষমেশ একরাশ আফসোস। বইটিতে লেখকের মনস্তাত্ত্বিক জীবনমুখী ভাবনার বহিঃপ্রকাশ ফুটে উঠেছিলো ব্যাপকভাবে। আসলে "শেষ" বললেই সব শেষ না। এই শেষের পরেও অনেক কিছু থেকে যায়। সেই থেকে যাওয়াটাই লেখক দারুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ বইটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। 


প্রিয় উক্তিঃ


১. একা মানুষের কোনো পিছুটান থাকে না, কথাটা আসলে সঠিক না। জীবনের প্রতি ভালোবাসা হলো সবচাইতে বড় পিছুটান।

২. পৃথিবীতে যেখানে সুখ আছে, ঠিক সেখানেই নিষেধ আছে। একটা সুখ মানেই একটা নিষেধ অমান্য করার ফল।

৩. যত সহজেই একটা দুঃখ শেষ হয়ে গেলে অন্য একটা দুঃখের জন্ম হয়। তত সহজে একটা সুখ শেষ হবার পর অন্য আরেকটা সুখ ফিরে আসে না।

৪. একজনের শূণ্য স্থান কখনো অন্যজন পূরণ করতে পারে না৷ শূণ্যস্থানের নিচে যেমন দাগ থাকে(----); অন্তরেও থাকে।

৫. মিথ্যার চেয়ে ভয়ংকর হলো অর্ধেক সত্য। কারণ সেটাকে সত্য থেকে আলাদা করা যায় না। 


ব্যক্তিগত রেটিংঃ


৪.৫/৫


পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ কেয়া সামি

Zunayed Evan Book

Zunayed Evan Book

 শেষ  Shesh - জুনায়েদ ইভান 


উৎসর্গঃ বাবা’কে। 


আমার বাবা সিংহের মত না , সিংহের স্বভাব হল সে যত শক্তিশালীই হোক না কেন, সব সময়ই পালানোর জন্য নির্দিষ্ট  একটা জায়গা সে রাখে।  আমার বাবা বট গাছের মত। পড়ন্ত রোদে ছায়ার দরকার হলে আমি বট  গাছের নিচে গিয়ে দাড়াই। রোদ যে এত সুন্দর সেটা ছায়ার ভেতরে থেকে না তাকালে বুঝতে পারতাম না।

জুনায়েদ ইভান এর লেখা

জুনায়েদ ইভান এর লেখা

 লেখা- জুনায়েদ ইভান ভাই! ❤


তোকে শৈশবে ক্লাস রুমে দেখেছিলাম 

ডাস্টার হাতে মুছে দিতে আমাকে 

শৈশবে তোকে সেডনেস গানের 

হেডফোনে পেয়েছিলাম।


শৈশবে তোকে ফোন করেছিলাম 

ভুল ডিজিটের ল্যান্ড ফোনে 

হ্যালো কে বলছেন ? 

শুনে ফোন রেখে দিয়েছি।


উন্মিনা টিচারের বিকেলের ক্লাসে 

ফর্সা নরম প্রথম হাত 

বাসায় এসে জ্যামিতি বইএর ভাজে 

সেই মুখ কল্পনা করেছিলাম।


তোকে কৈশোরে খুঁজে বেড়িয়েছি 

শপিংমলে; কোচিং সেন্টারে 

সুমনদের ছাদে লুকিয়ে দেখেছিলাম 

নীল জামা পড়া মানবী


তোকে মনে হত রানী এলিজাবেথ 

প্রিমিও এফের দরজা খুলে 

নিচের ঠোঁট কামড়ে চলে যেতে। 

উল্টো দিকে চুল আঁচড়িয়ে

ব্র্যান্ডের শার্ট গায়ে দেবার পরেও 

দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি।


একুশে তোকে নাস্তা করিয়েছিলাম 

অনুরাগ হোটেলে 

আড়ংএর সামনে রিকশা থামিয়ে যেভাবে কেঁদেছিলি 

এভাবে আমার জন্য কেউ কাঁদেনি


মহিনের লিরিকে, তলস্তয়ের গল্পে

পূর্ণ দৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবির 

শ্রাবণ মেঘের দিনে 

দেখেছিলাম তোকে


সিনেমা হলে দেখেছিলাম 

পপ কর্ণ হাতে নিয়ে 

সহ্যের বাইরে এক মানবী দেখেছিলাম। 

লাল লিপিস্টিকে দেখেছিলাম 

নীল লিপিস্টিকে দেখেছিলাম 

লিপিস্টিক ছাড়া দেখেছিলাম 

শুকনো কোন আদরের ঠোঁট


তোকে সাজলে ভাল লাগে 

না সাজলে তোকে ভাল লাগে 

তোকে একটা একটা কথা বলতে ভাল লাগে 

অনেক কথা একটা করতে ভাল লাগে


তোকে অনেক বার দেখেছি 

স্টেডিয়ামের পেছনের গেটে 

প্লাস্টিকের চেয়ারে; 

ফ্লাইওভারে হর্ন না বাজানো গাড়ির 

নেমপ্লেটে দেখেছি 

সত্তর স্পীডের গাড়িটা চলে গেছে

ঠিকানা জানার আগেই।


তোকে কাঁদবোনা ভেবে কেঁদে ফেললে ভাল লাগে 

আযানের সময় মাথায় ওড়না দিলে; 

সামান্য শব্দে ভয় পেয়ে লেপের নিচে শুয়ে 

কার্টুন দেখলে ভাল লাগে তোকে।


চা খেতে খেতে, ট্রেনের ম্যাগাজিনে

কল্পনা করেছিলাম। 

অঞ্জনের লিরিকে, একস্টিক গানে 

আঁচ করেছিলাম তোকে।


তোকে যৌবনে দেখেছিলাম 

ঈদের আগের রাতে সেজে গুজে

একেবারে স্লিম চাঁদ

নেভালের জাহাজে বাতি জ্বালিয়ে 

বিয়ে করার প্ল্যান করেছিলাম


তোকে ত্রিশঊর্ধ্বে দার্জিলিং দেখাব 

সমরেশের আকাশে নস্টালজিক হব 

সব থেকে সুন্দর সমুদ্রে 

রাত কাটাব তারা গুনব


তোকে 

নালিশ করব 

শাসন করব 

মুড়ি চানাচুর মেখে মুভি দেখব 

তোকে 

আদর করব 

দাবা খেলব 

শোবার সময় বালিশের পাশে রাখব।


তোকে বৃদ্ধ বয়সে আকাশ দেখাব 

বৃদ্ধ বয়সে আবার চুমো খাব 

প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ দেব। 

বৃদ্ধ বয়সে গান শোনাব তোকে 

যৌবনের ছারপোকা এ্যালবাম থেকে।


 লেখা - জুনায়েদ ইভান

লেখা - জুনায়েদ ইভান

 লেখাঃ জুনায়েদ ইভান ভাই 


একটা ট্রাফিক যখন হাতের ইশারায় সিগন্যাল দিয়ে সব গাড়ি আটকে দেয়, তখন আটকে থাকা গাড়ি গুলোর ভেতরে সব চাইতে বেশি আফসোস করে কোন গাড়ির যাত্রীগুলো জানেন ? অবশ্যই যে গাড়ি গুলো সিগন্যালের প্রথম সারিতে থাকে। তারা বাড়তি কষ্টটা এই কারণে পায় যে তাদের ঠিক আগের গাড়িটাই পার হয়ে গেছে !

বিড়ম্বনাই তার একমাত্র কষ্ট না; সে থেমে আছে এই কষ্টটাকে ছাপিয়ে গেছে তার ঠিক পাশেরজন এগিয়ে গেছে - এই ভাবনাটাই তাকে সিগন্যালে আটকে থাকা পেছনের অন্য যাত্রীদের চাইতে বেশি ভোগাচ্ছে !

লক্ষ করলে দেখবেন অধিকাংশ সময়ই নিজের থেমে থাকার জন্য না বরং অন্যকেউ কেন এগিয়ে গেছে এই নিয়ে আমরা একধরনের যন্ত্রণায় ভুগি। সেই অন্য কেউ যদি বিল গেটস হয় তাহলে আমাদের কিছুই আসে যায় না কিন্তু যখনই আপনার পাশের কেউ হয় তখন কেন এরকম সুড়সুড়ে লাগে জানেন ?

কারণ আমাদেরকে বড় করাই হয়েছে একধরণের প্রতিযোগিতার


মধ্য দিয়ে। অথচ জীবনটা এরকম কোন রেইস খেলা না যে কেবল যারা ফাস্ট সেকেন্ড থার্ড হবে তারাই মেডেল পাবে; সব চাইতে পেছনে যে দৌড়াচ্ছে, সে কিন্তু চাইলেই এভাবে ভাবতে পারে যে তার পেছনে কেউ নেই।

সে যদি এখন উল্টো দিক দিয়ে দৌড় শুরু করে তাহলে সেখানে সেই প্রথম হবে। ইয়েস! যারা সাকসেস হয়েছে তারা কিন্তু সবার দেখানো পথ ধরে সামনে এগোয় নি, তারা নিজেরাই একটা পথ তৈরি করে নিয়েছে।