লেখা- জুনায়েদ ইভান ভাই! ❤
তোকে শৈশবে ক্লাস রুমে দেখেছিলাম
ডাস্টার হাতে মুছে দিতে আমাকে
শৈশবে তোকে সেডনেস গানের
হেডফোনে পেয়েছিলাম।
শৈশবে তোকে ফোন করেছিলাম
ভুল ডিজিটের ল্যান্ড ফোনে
হ্যালো কে বলছেন ?
শুনে ফোন রেখে দিয়েছি।
উন্মিনা টিচারের বিকেলের ক্লাসে
ফর্সা নরম প্রথম হাত
বাসায় এসে জ্যামিতি বইএর ভাজে
সেই মুখ কল্পনা করেছিলাম।
তোকে কৈশোরে খুঁজে বেড়িয়েছি
শপিংমলে; কোচিং সেন্টারে
সুমনদের ছাদে লুকিয়ে দেখেছিলাম
নীল জামা পড়া মানবী
তোকে মনে হত রানী এলিজাবেথ
প্রিমিও এফের দরজা খুলে
নিচের ঠোঁট কামড়ে চলে যেতে।
উল্টো দিকে চুল আঁচড়িয়ে
ব্র্যান্ডের শার্ট গায়ে দেবার পরেও
দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারিনি।
একুশে তোকে নাস্তা করিয়েছিলাম
অনুরাগ হোটেলে
আড়ংএর সামনে রিকশা থামিয়ে যেভাবে কেঁদেছিলি
এভাবে আমার জন্য কেউ কাঁদেনি
মহিনের লিরিকে, তলস্তয়ের গল্পে
পূর্ণ দৈর্ঘ বাংলা ছায়াছবির
শ্রাবণ মেঘের দিনে
দেখেছিলাম তোকে
সিনেমা হলে দেখেছিলাম
পপ কর্ণ হাতে নিয়ে
সহ্যের বাইরে এক মানবী দেখেছিলাম।
লাল লিপিস্টিকে দেখেছিলাম
নীল লিপিস্টিকে দেখেছিলাম
লিপিস্টিক ছাড়া দেখেছিলাম
শুকনো কোন আদরের ঠোঁট
তোকে সাজলে ভাল লাগে
না সাজলে তোকে ভাল লাগে
তোকে একটা একটা কথা বলতে ভাল লাগে
অনেক কথা একটা করতে ভাল লাগে
তোকে অনেক বার দেখেছি
স্টেডিয়ামের পেছনের গেটে
প্লাস্টিকের চেয়ারে;
ফ্লাইওভারে হর্ন না বাজানো গাড়ির
নেমপ্লেটে দেখেছি
সত্তর স্পীডের গাড়িটা চলে গেছে
ঠিকানা জানার আগেই।
তোকে কাঁদবোনা ভেবে কেঁদে ফেললে ভাল লাগে
আযানের সময় মাথায় ওড়না দিলে;
সামান্য শব্দে ভয় পেয়ে লেপের নিচে শুয়ে
কার্টুন দেখলে ভাল লাগে তোকে।
চা খেতে খেতে, ট্রেনের ম্যাগাজিনে
কল্পনা করেছিলাম।
অঞ্জনের লিরিকে, একস্টিক গানে
আঁচ করেছিলাম তোকে।
তোকে যৌবনে দেখেছিলাম
ঈদের আগের রাতে সেজে গুজে
একেবারে স্লিম চাঁদ
নেভালের জাহাজে বাতি জ্বালিয়ে
বিয়ে করার প্ল্যান করেছিলাম
তোকে ত্রিশঊর্ধ্বে দার্জিলিং দেখাব
সমরেশের আকাশে নস্টালজিক হব
সব থেকে সুন্দর সমুদ্রে
রাত কাটাব তারা গুনব
তোকে
নালিশ করব
শাসন করব
মুড়ি চানাচুর মেখে মুভি দেখব
তোকে
আদর করব
দাবা খেলব
শোবার সময় বালিশের পাশে রাখব।
তোকে বৃদ্ধ বয়সে আকাশ দেখাব
বৃদ্ধ বয়সে আবার চুমো খাব
প্রেসক্রিপশন দেখে ওষুধ দেব।
বৃদ্ধ বয়সে গান শোনাব তোকে
যৌবনের ছারপোকা এ্যালবাম থেকে।